নিজস্ব প্রতিবেদক, কুতুবদিয়া :: কক্সবাজার-২ (কুতুবদিয়া-মহেশখালী) আসনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী ৬ জন হলেও মূলত প্রতিদ্বন্ধিতা হবে আওয়ামী লীগের নৌকা আর বিএনএম এর নোঙর মার্কার মধ্যেই। বাকী ৪ প্রাথী নিয়ম রক্ষায় শরীক হয়েছেন নির্বাচনে।
আওয়ামী লীগের গত ২ বার নির্বাচিত সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন হয়ে এবারও নৌকা নিয়ে লড়ছেন। এ আসনে শক্তিশালী জামায়াত-বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় নৌকার বিজয়পথ খুব সহজ ছিল। তবে এই সহজটাকে কিছুটা কঠিনে পরিণত করেছেন আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাতগী মহেশখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) এর শরীফ বাদশাহ। নোঙর প্রতীক নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
নিয়ম রক্ষার প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা মো: ইউনুছ ( মিনার), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মো: মাহবুবুল আলম (আম), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মাওলানা মো: জিয়াউর রহমান (চেয়ার) ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) মো: খাইরুল আমিন ( একতারা)। এই চার প্রার্থীর প্রচারণা নেই।
দুই উপজেলা নিয়ে এ আসনের একটি অংশ কুতুবদিয়া উপজেলা। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ৬ প্রার্থীর সবাই মহেশখালী উপজেলার বাসিন্দা। নৌকার সাথে প্রতিদ্বন্ধিতায় ফিরে আসা নোঙর প্রতীকের শরীফ বাদশাহ মহেশখালী ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন দু‘বার। স্থানীয় ভাবে তার পরিচিতি থাকলেও উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় কুতুবদিয়া উপজেলায়ও অনেকটাই পরিচিত। তবে বাকি চারজন পুরোই নতুন কুতুবদিয়াবাসির জন্য।
প্রচারণা আর ভোটারদের মুখে এখন ভোটে প্রতিদ্বন্ধিতা হবে নৌকা ও নোঙর প্রতীকের মাঝে। চা দোকানদার রহিম উল্লাহ বলেন, প্রধান বিরোধীদলগুলো নির্বাচনে অংশ নেয়নি। কাজেই ভোট শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সরকার নিতে চাইলেও সিংহভাগ ভোটারের মনে শান্তি নাই, আমেজ নাই। অতি সহজেই নৌকার জয়ের সমূহ সম্ভাবনা থাকলেও নোঙর এসে বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে নৌকার জন্য। যেন নৌকা চলার পথে নোঙরের টান পরেছে । তবে সবকিছুর পরও এ আসনে শেষপর্যন্ত নৌকার বিজয় হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
পথে-প্রান্তরে নৌকার পক্ষে প্রচারণা বেশ জমে উঠেছে। ঘরোয়া বৈঠক, পথসভা, মাইকিং, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রচারণায় মুখর আওয়ামী লীগ , মহিলা আ‘লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। নির্বাচনকে উৎসবমুখর করতে দ্বীপ দুই উপজেলায় চেষ্টার কমতি নেই তাদের। তবে শেষ পর্যন্ত সহজেই জয় হবে নাকি কঠিন হবে এটি নির্বাচনের শেষ প্রান্তে এসে বোঝা যাবে।
পাঠকের মতামত: